School building vandalism: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার স্কুল ভাঙচুর!

জেলা রাজ্য

মিলন পন্ডা, পূর্ব মেদিনীপুর: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ঘটে গেল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সরকারি বরাদ্দে নির্মীয়মাণ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাশের হাইস্কুলের একাংশ শিক্ষিকা ও ক্লার্কদের বিরুদ্ধে (School Building Vandalism)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথি পুরসভার চন্দ্রামনি ব্রাহ্ম বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, কাঁথি পুরসভা থেকে ওয়ার্ক অর্ডার (work order) পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের উপর একটি দ্বোতলা নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদার অভিজিৎ রায়। নির্মাণ কাজ কিছুটা এগোনোর পরেই অভিযোগ ওঠে, পাশের কাঁথি চন্দ্রামনি ব্রাহ্ম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকা ও ক্লার্ক সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলেন।

আরও পড়ুন:- Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ক্ষোভের আঁচ জেলায় জেলায়, গেটের তালা ভেঙে বিক্ষোভ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থসারথী ত্রিপাঠি অভিযোগ করেন, “হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ নির্মাণ সামগ্রী ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি। গেট খুলতে অস্বীকার করে। পরে নির্মীয়মাণ অংশ ভেঙে দেওয়া হয় এবং ঠিকাদারের কর্মীদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনা সম্পর্কে কাঁথি থানা, মহকুমা শাসক, কাঁথি পুরসভা ও শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু নির্মাণকাজ (School Building Vandalism) নয়, মিড ডে মিল সরবরাহের ঘরও তালাবদ্ধ করে রেখেছেন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে ছোট ছোট পড়ুয়াদের মাটিতে বসেই মিড ডে মিল খেতে হচ্ছে। এছাড়াও, গত তিন মাস ধরে স্কুলের প্রধান গেটে তালা ঝুলছে। এর ফলে ইট-বালি-পাথর বাইরে পড়ে থাকছে, যা চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। প্রায় ৬৫০ জন পড়ুয়া অধ্যয়নরত এই শতাব্দীপ্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অভিভাবকেরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও ক্লার্কদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তারা।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “দুই পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছেন। আগামী শুক্রবার দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিরাও সেখানে থাকবেন।” এই ঘটনাকে (School Building Vandalism) ঘিরে শিক্ষাক্ষেত্রে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে – যেখানে শিক্ষকরাই সমাজ গঠনের কারিগর, সেখানে তাঁদের মধ্য থেকেই এমন আচরণ কতটা গ্রহণযোগ্য?