নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাবুন তো রাত্রে ঘুমালেন আর সকালে উঠেই দেখলেন অন্যের ঘরে ঘুমিয়ে আছেন আপনি! কিংবা নিজের সম্পত্তি অন্যের হয়ে যায় টের পাওয়ার আগেই? শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা খানিকটা তেমনই। নিজের জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে অথচ টেরই পাননি মালিক।
কাগজ বলছে জমি অন্য কারোর এদিকে তিনি কিন্তু বিক্রি করেননি, বড়ই অদ্ভুত কাণ্ড। একটু খোঁজ নিতেই জানা যায় এর পিছনে আসলে লুকিয়ে প্রতারণা। ঘটনাটি রাজারহাট জগদীশপুর এলাকার, এক ব্যক্তি চলতি মাসে জানুয়ারিতেই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রাজারহাট জগদীশপুর এলাকায় ২১ কাঠা জমি রয়েছে ব্যক্তির কিন্তু আচমকায় সেই জমির কাগজে নাম অন্য কারোর। বিআরএল দফতরে জমির মিউটেশন করাতে গিয়েই
মাথায় বাজ পড়ে তাঁর, জানতে পারেন ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান প্রদীপ ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি। জমি জালিয়াতি করে বিক্রি করা হয়েছে এ কথা রাজারহাট থানায় জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এও বলেন বর্তমানে তাঁর অজান্তেই, জমির মালিক অন্য কোনও ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে রাজারহাট থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে জানা যায় প্রায় দুই কোটি ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে জমি।
এরপরেই রাজারহাট থানা বিভিন্ন জায়গায় চালায় খোঁজ। সন্দেহবশত গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে। পরে মূল ঘাটি ধরতে পেরে জালিয়াতি চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন রাজারহাট পুলিশের তরফ থেকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ শাউ, শাহজাহান আলী, কৌশিক মুখার্জী, বাবুল হোসেন নামের চার ব্যক্তিকে।
তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ জাল দলিল তৈরি করার অভিযোগ। প্রথমে একজনকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয়। আজ বারাসাত আদালতে তোলা হবে ধৃতদের। জালচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কি তা খতিয়ে দেখছে রাজারহাট থানার পুলিশ, চলছে তদন্ত।