বিশ্বকাপে ডাক বাংলার মেয়ের, দারিদ্রতা সঙ্গে নিয়েই পাড়ি দিল্লিতে

ক্রীড়া দেশ রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,হুগলি: বিশ্বকাপ খেলতে দারিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়েই পাড়ি বাংলার মেয়ে ঈশিতার। খো খো বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ডাক পান পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ার মেয়ে ঈশিতা। বাবা কল মিস্ত্রি, মা’র কাজ অন্যের বাড়িতে রান্না করা, আর মেয়ে খেলবে বিশ্বকাপ। শুনতে সহজ হলেও বাস্তবের পথটা বড়ই কঠিন, দারিদ্রতাকে চ্যালেঞ্জ করেই এগোচ্ছিল ক্রীড়াজীবন। দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেই চলছিল ঈশিতার অনুশীলন।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতে হতে চলেছে প্রথম খো খো বিশ্বকাপ। আর সেখানেই ভারতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন ঈশিতা বিশ্বাস।

মগরা বাগাটি শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঈশিতা। ছোটো থেকেই খেলার প্রতি নেশা ছিল তার, জানিয়েছে পরিবার। মা ও দিদির হাত ধরে চুঁচুড়া বেগুন তলার মাঠে খো খো খেলা দেখতে যেতেন ঈশিতা। আর সেই থেকেই শুরু স্বপ্ন দেখা।

২০২৫ সালে ১৩ থেকে ১৯ শে জানুয়ারি দিল্লির জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে খো খো বিশ্বকাপের আসর বসবে। ২৬ টা দেশ এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে। সেখানেই খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ ঈশিতার।

ঈশিতা বলেন, ‘২০১৯ সালে ভারতের হয়ে সাউথ এশিয়ান গেমস খেলেছি। এখন আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয় করার। এক সময় স্কলারশিপ পেতাম কিন্তু এখন বন্ধ রয়েছে বিশ্বকাপের পর আবার শুরু হবে স্কলারশিপ। সরকারি সাহায্য না পেলেও খোকো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে খেলো ইন্ডিয়া থেকে দশ হাজার টাকা করে পেতাম কিন্তু এ বছরে মার্চ মাস থেকে তাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে আশা করছি ওয়ার্ল্ড কাপের পর আবার তা শুরু হবে। ন্যাশনাল গেমস ও খেলার ইচ্ছা রয়েছে এবং ২০৩৬ সালে খো খো অলিম্পিক হবে সেখানে খেলার ইচ্ছা রয়েছে’।

এ বিষয়ে ঈশিতার কোচ মিঠুন সরকার বলেন, ‘ছোটবেলায় দিদির সাথে খেলা দেখতে আসতো তখন থেকেই খেলার প্রতি তার ভালবাসা ছিল। সাব জুনিয়ার, জুনিয়ারে খেলো ইন্ডিয়ায় ডাক আসে। সদ্য শেষ হওয়া নেপালে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। ১৩ই জানুয়ারি থেকে ১৯শে জানুয়ারি বিশ্বকাপে খেলবে। সেখানে এক মাসের ক্যাম্প হবে। আমরা খুব আশাবাদী যে সে চূড়ান্ত দলে খেলবে। বিশ্বকাপ খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। দুপুরে সুইমিং করে বিকেলে এসে আবার গেম খেলেছে। আমরা আশা করছি ভারত গোল্ড পাবে তাতে ঈশিতার অবদান থাকবে’।