জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত ‘সোশাল স্টাডিজে’র পথচলা শুরু

কলকাতা রাজনীতি রাজ্য শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : আজ শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ১৫তম মৃত্যুদিবস। তাঁর স্মরণে নির্মীয়মান ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’-এর নিজস্ব ভবনের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হল আজ শুক্রবার। এদিন সকাল ১০ টায় এর উদ্বোধন করেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির কো-অর্ডিনেটার প্রকাশ কারাত। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর সদস্যরা, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিমান বসু। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না বলে নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে কোন রাজনৈতিক বিষয় দেখছে না সিপিআইএম।  

এই অনুষ্ঠানে প্রকাশ কারাত বলেন, ‘জ্যোতি বসু দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে দেশে যেখানে উগ্র হিন্দুত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠান তথ্য সমৃদ্ধ গবেষণার মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরবে।’ সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য কোন সরকারই কোন বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। সেই কারণে আমাদের দেশে গবেষণার খুবই প্রয়োজন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে আরও সুদৃঢ় করতে এই প্রতিষ্ঠান এক বড় ভূমিকা পালন করবে।’

রিসার্চ সেন্টারের সম্পাদক সিপিআইএম নেতা রবিন দেব বলেন, ‘আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী, তাঁর স্মরণে এই রিসার্চ সেন্টার তৈরী করা হয়েছে। এই রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধনে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গবেষণাকেন্দ্রের সভাপতি বিমান বসু আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে জানানো হয়েছে তিনি থাকতে পারবেন না।’ ‘জ্যোতি বসুর সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ’-এর নিজস্ব ভবনের নিচের তলায় জ্যোতি বসু সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি নিয়ে গ্যালারি করা হয়েছে, এখানে জ্যোতি বসু ছাড়াও অনেক ব্যক্তিদের নথি থাকবে। ওই ভবনের দোতলায় একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে।