রায়দানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় মোড়া শিয়ালদহ

কলকাতা শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা:- শনিবার শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, আদালত চত্বরে শনিবার মোতায়েন থাকবেন ডেপুটি কমিশনার (উত্তর বিভাগ) দীপক সরকার সহ দু’জন ডেপুটি কমিশনার। তাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন প্রায় ১৫০ জন বাহিনী। তার সঙ্গে থাকবে ৫০ জনের বেশি নজরদারি টিম। মোতায়েন থাকবে RAF ও কমব্যাট বাহিনী।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসার সময়েও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাদা পোশাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন।

পুলিশের অনুমান, আজকের রায়দানের দিনে আদালত চত্বরে সাধারণ মানুষের ভিড় হতে পারে। তাই, নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। তবে, লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়ে তাঁদের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, আরজি কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্ট আজ শনিবার রায়দান করবেন বিচারক। সঞ্জয় রাইকেই একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সিবিআই দাবি করেছে তার যাতে সর্বোচ্চ সাজা হয়। সেইজন্য আজকের এই রায়দান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা কলকাতা পুলিশ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছিল, আর পরবর্তী কালে সেটাতেই শিলমোহর দিয়েছে সিবিআই। দীর্ঘদিন তদন্ত করার পর তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও দিতে পারেনি। সেই কারণে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল আর জিকর সঞ্জীব ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু সঞ্জীব ঘোষ এখনও জেলবন্দি রয়েছেন। কারণ আরজি করে আর্থিক দুর্নীতিতে তাঁর নাম সহ আরও ৪ জনের নাম রয়েছে। অর্থাৎ খুন ও ধর্ষণ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

আজ ১৮ জানুয়ারি রায়দান ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরো শিয়ালদহ কোর্ট চত্বর কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার দিকে সজাগ দৃষ্টি পুলিশের। এর মধ্যেই কিছু রাজনৈতিক দলের স্লোগান চলছে, ‘অবিলম্বে সঞ্জয় রাইকেই ফাঁসি দিতে হবে’।

যত বেলা বাড়ছে শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তারাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সঞ্জয় রাই একা দোষী নয়, এই বক্তব্য তুলে ধরে স্লোগান চলছে। সব মিলিয়ে আজকে শিয়ালদহ চত্বরে পরিস্থিতি অন্যদিনের থেকে একটু অন্যরকম। সকাল থেকে সেটা বোঝা যাচ্ছে। পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড করে দিয়েছে, যাতে কেউ প্রবেশ না করতে পারে এবং যারা কোর্ট চত্বরে ঢুকছেন তাঁদেরকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। পুরো জায়গাটিতে বাড়তি সিসিটিভি টিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে কলকাতা পুলিশ।