নিউজ পোল ব্যুরো: বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আর ভারত (India) তার বাইরে নয়। জীবনযাত্রায় (Lifestyle) পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা-এইসবই এর জন্য দায়ী। যখন অগ্নাশয় ইনসুলিন (Insulin) উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বা তা কমিয়ে দেয়, তখন রক্তে (Blood) শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে যদি ডায়াবেটিস (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে (Control) না রাখা যায়, তবে শরীরে নানান জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ব্লাড সুগার (Blood sugar) নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আজকাল এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে যেখানে অল্প বয়সে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে ৩০ বছর বয়সের আগে অনেকের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার চিন্তা দেখা যায়। তবে বয়স (Age) অনুযায়ী ঠিক কতটা শর্করা স্বাভাবিক তা জানা প্রয়োজন কম বয়সী শিশুদের ফাস্টিং সুগার (Sugar) হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য এই পরিসীমা একই,৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের জন্য স্বাভাবিক ফাস্টিং সুগার (Sugar) ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ ডিএল হওয়া উচিত। তবে কুড়ি বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল এর নিচে থাকা উচিত।
যদি ৩০ বছর বয়সের পর কিছু লক্ষণ (Symptoms) দেখেন যেমন, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, হাত পা বা আঙুল অবশ হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত তৃষ্ণা,শরীরে ঘা না শুকানো, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া বা দুর্বলতা তাহলে দ্রুত ব্লাড সুগার (Blood Sugar) পরীক্ষা করানো উচিত। একসময় ৪৫ বছর বয়সের পর একবার ডায়াবেটিস (Diabetes) পরীক্ষা করার পরামর্শ ছিল, কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ৩০ বছর বয়সের পরই রক্তের শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত।রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সচেতনতা এবং সঠিক খাবারের অভ্যাস থাকা জরুরি।