Importance of Food Label: প্যাকেটের লেবেল কী বলছে? খাবারের গোপন সত্য জানুন!

স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনতা (health consciousness) ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর উপাদান খুঁজছেন এবং খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ও বিভিন্ন আলোচনার ফলে বেশিরভাগ মানুষই জানেন যে খাবারে অতিরিক্ত নুন (salt), চিনি (sugar), এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত (high calorie) উপাদান এড়িয়ে চলা দরকার। এই চাহিদার কারণে বাজারে অনেক খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘স্বাস্থ্যকর’ (healthy) খাবার বলে দাবি করে চিপ্‌স (chips), চানাচুরসহ (snacks) নানা ধরনের মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে। তবে, যেসব খাবার কিনছেন, সেগুলি আদৌ স্বাস্থ্যকর কি না, তা বোঝার জন্য প্যাকেটের লেবেল (food label) যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। একটি খাদ্য সংস্থার কর্ণধার আশুতোষ আগরওয়াল বলছেন, প্রথমেই যেকোনো খাবারের মোড়কের লেবেলে থাকা উপাদানগুলোর তালিকা(Importance of Food Label) ভালোভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের নাম দেখে বোঝা যায় যে এতে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক (processed chemicals) নেই। তবে সেটি আদৌ স্বাস্থ্যকর কি না, তা বোঝার জন্য আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়, যেমন—

১) প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক ও কৃত্রিম উপাদান: খাবারে ব্যবহৃত তেল (oil), কৃত্রিম গন্ধ (artificial flavor), এবং সংরক্ষণকারী রাসায়নিক (preservatives) দেখে খাবারটির গুণমান নির্ধারণ করা যায়।
২) গোপন চিনি: অনেকে মনে করেন, যদি কোনো প্যাকেটজাত খাবারের লেবেলে ‘সুগার’ শব্দটি না থাকে, তবে সেটি চিনিমুক্ত (sugar-free)। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। খাদ্যদ্রব্যের উপকরণের তালিকায় ডেক্সট্রোজ (dextrose), মল্টোজ (maltose), ফ্রুক্টোজ (fructose) ইত্যাদি থাকলে বুঝতে হবে যে তাতে চিনি যুক্ত রয়েছে।
৩) ক্ষতিকর রাসায়নিক: কিছু রাসায়নিকের নাম সরাসরি বোঝা যায় না। তবে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG), সোডিয়াম নাইট্রেট (sodium nitrate) জাতীয় উপকরণ থাকলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরও পড়ুন:- https://thenewspole.com/2025/02/26/pumpkin-seeds-health-benefits/

‘লো ফ্যাট’, ‘অর্গানিক’ মানেই কি স্বাস্থ্যকর?
বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাবারের(Importance of Food Label) মোড়কে বড় অক্ষরে লেখা থাকে— ‘লো ফ্যাট’ (low fat), ‘অর্গানিক’ (organic), ‘ন্যাচারাল’ (natural) ইত্যাদি। তবে এই শব্দগুলি দেখে খাবারটি যে স্বাস্থ্যকর হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। খাদ্য বিশেষজ্ঞ জনার্দন সওহর জানান, এসব লেবেলের মূল উপাদান বিশ্লেষণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:- https://thenewspole.com/2025/02/25/five-kidneys-rare-surgery-scientist-bengal/

স্ন্যাক্স কেনার সময়: এতে উচ্চমাত্রার প্রোটিন (protein) ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (healthy fats) আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
কম চিনি মানেই স্বাস্থ্যকর নয়: শুধুমাত্র ‘লো সুগার’ (low sugar) লেখা থাকলেই সেটি স্বাস্থ্যকর নয়, কারণ এতে বিকল্প মিষ্টি উপাদান (artificial sweeteners) থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য ভালো নাও হতে পারে।
‘সুপারফুড’ লেখা মানেই গুণগত মান ভালো নয়: অনেক প্যাকেটজাত খাবারের মোড়কে ‘গ্লুটেন ফ্রি’ (gluten-free), ‘সুপারফুড রিচ’ (superfood-rich) ইত্যাদি লেখা থাকে। কিন্তু এগুলি আসলেই কার্যকর কি না, তা যাচাই করতে লেবেলের উপকরণ তালিকা খুঁটিয়ে দেখা উচিত।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

সঠিক খাদ্য বাছাইয়ের উপায়
১. উপকরণের তালিকা (Ingredients list) পড়ুন: সহজবোধ্য উপাদানযুক্ত খাবার কিনুন।
২. চিনির বিকল্প নাম চিহ্নিত করুন: ডেক্সট্রোজ, ফ্রুক্টোজ, মল্টোজ, কারামেল (caramel) ইত্যাদি থাকলে সতর্ক থাকুন।
৩. সংরক্ষণকারী রাসায়নিক (Preservatives) এড়িয়ে চলুন: MSG, সোডিয়াম নাইট্রেট, সোডিয়াম বেনজোয়েট (sodium benzoate) ইত্যাদি থাকলে তা এড়িয়ে চলা ভালো।
৪. ‘লো ফ্যাট’ বা ‘অর্গানিক’ শব্দের পিছনে লুকানো বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করুন।

সুতরাং, স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার আগে শুধুমাত্র মোড়কের বিজ্ঞাপন(Importance of Food Label) দেখে বিশ্বাস না করে লেবেল ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত। সঠিক তথ্য জানা থাকলে খাদ্যাভ্যাস আরও স্বাস্থ্যকর করা সম্ভব।