নিউজ পোল ব্যুরো: বর্তমানে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতির পদে রয়েছেন জেপি নাড্ডা। তবে তাঁর মেয়াদ এবার শেষ হওয়ার পথে। কে বসবেন বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চর্চার শেষ নেই। এই আবহে যে যার নাম সামনে আসছে তাকে ঘিরেই এখন জল্পনা তুঙ্গে। তাও আবার এক মহিলা মুখ। নারী ক্ষমতায়ণে বরাবরই জোর দেওয়া হয়েছে নারী ক্ষমতায়নে(Women Empowerment)। দিল্লিতে সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে নির্বাচন করে বিজেপি আরও এবার বার্তা দিয়েছে নারী উন্নয়নে বিজেপি এগিয়ে। সাড়ে চার দশকের ইতিহাসে এবার কি তাহলে বিজেপি পেতে চলেছে প্রথম মহিলা সভাপতি?
সূত্রের খবর নাড্ডার উত্তরসূরী কে হবে? কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে তা নিয়েই এখন চর্চা অব্যহত রয়েছে। সামনে রয়েছে বিহার, বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে বিজেপির এই সভাপতি নির্বাচন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই সময়ে নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বাতাসে ভাসছে একজন মহিলা নেত্রীর নাম। রাজনীতিতে যার উত্থান আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। দলের মধ্যে অনেকেই বলছেন খুব যদি ওলট-পালট না হয় তাহলে এই মহিলা নেত্রীই সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি সক্রিয় ভাবে জাতীয় রাজনীতিতে খুব পরিচিত মুখ না হলেও তিনি রয়েছেন বিজেপির সর্বোচ্চ সাংগঠনিক কমিটি ‘সংসদীয় বোর্ডে’(BJP’s parliamentary board) । যেখানে তিনিই একমাত্র মহিলা মুখ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ছাড়া তিনিই একমাত্র মহিলা, যাঁকে বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের সদস্য করেছে। ২০২২ সালে ‘সংসদীয় বোর্ডে’ নেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই বোর্ড ছাড়াও তিনি রয়েছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিটি’তেও।

যে ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে তিনি হলেন হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সুধা যাদব(Sudha Yadav)। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই আইআইটিয়ানের সংসদীয় রাজনীতিতে পা। আইআইটি-রুড়কি থেকে তিনি রসায়নে স্নাতকোত্তর হন। তারপর আইআইটি থেকেই ১৯৯২ সালে পিএইচডি করেন। তারপর প্রথম বার ভোটে লড়েন ১৯৯৯ সালে। তাতেই নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। সেই সময়ে হেভিওয়েট কংগ্রেস প্রার্থীকে (এখন তিনি বিজেপিতে) হারিয়ে সাংসদ হন। যদিও পরে সুধা মহেন্দ্রগড় থেকে পরবর্তী দু’টি লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান। তার পর আবার তাঁর উত্থান হয় ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে। তাঁর উপর ভরসা করে মোদী ২০১৫ সালে বিজেপির ওবিসি মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ করেন। সেই তিনিই এগিয়ে বিজেপির সভাপতি হওয়ার দৌড়ে।
আরও পড়ুনঃ S Jaishankar: লন্ডনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের গাড়িতে হামলা, তিব্র নিন্দা দিল্লির

প্রসঙ্গত, রাজ্য পর্যায়ের সাংগঠনিক নির্বাচন শেষ হওয়ার পর মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিজেপি(BJP) তাদের নতুন জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচন প্রক্রিয়াটি জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন এবং একাধিক রাজ্য ইউনিটে অন্যান্য নির্বাচনের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। বিজেপির সংবিধান অনুসারে, নতুন জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের জন্য দল এগিয়ে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ৫০% রাজ্য ইউনিটকে তাদের নিজ নিজ সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে, ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে কমপক্ষে আরও ছয়টি রাজ্য ইউনিটকে তাদের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করতে হবে। বিজেপি সূত্র জানিয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন কিছুদিনের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, বিজেপির জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/