নিউজ পোল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি খ্রিস্টান পুণ্যার্থীর হৃদয়ে শোকের ছায়া। ইস্টার রবিবারে সকলকে অবাক করে দিয়ে যেখানে পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis) ঈশ্বরের শান্তির বার্তা শোনালেন, সেখান থেকেই শুরু হল বিদায়ের পথচলা। ভ্যাটিকান (Vatican) সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় (Health problem) ভুগছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: JD Vance: মোদীর নৈশভোজে ভান্স! কেন উপেক্ষিত ধনখড়?
পোপ ফ্রান্সিসের (Pope Francis) শারীরিক অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরেই সংকটজনক ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল ইটালির (Italy) এক হাসপাতালে। ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুসের অংশ অপসারণ করা হয়, যার জেরে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। পরে জানা যায়, তাঁর উভয় ফুসফুসেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বুকের এক্স-রে সহ অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্টও ছিল আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতির পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে ছিলেন।
তবে সকলকে অবাক করে রবিবার ইস্টারের দিন উপস্থিত হন সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার পুণ্যার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি হাত নাড়েন এবং বলেন, “ভাই ও বোনেরা, হ্যাপি ইস্টার।” গাজার চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সবপক্ষকে অনুরোধ করছি, দয়া করে এই যুদ্ধ থামান।” কিন্তু তাঁর এই শান্তির বার্তার ঠিক পরদিনই চিরবিদায় নেন তিনি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন ইতিহাসে প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ। চার্চকে আধুনিকতার সঙ্গে যুক্ত করতে তিনি একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাঁর প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সমাজে নেমে এসেছে গভীর শোক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, “ছোটবেলা থেকেই প্রভু যীশুর আদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত আমরা।”