নিউজ পোল ব্যুরো: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা এক গভীর সংকটে ভুগছে। একদিকে আচার্য সদনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলন চলছে, অন্যদিকে গ্রুপ C ও D প্রার্থীরা ডিরোজিও ভবনে অবস্থান করছেন। এদিন ইকো পার্কে (Dilip Ghosh in Ecopark) এসে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh in Ecopark) মন্তব্যে উঠে এসেছে আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের উদাসীন মনোভাব। যেসব চিকিৎসকরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাননি, তারাও পথে নেমেছেন, কিন্তু ফলাফল শূন্য। সরকার যে কানে শুনতে চায় না, তা আজ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: Calcutta HC: যোগ্য নয়, তবু বেতন! এই অন্যায়ের জবাব চায় হাই কোর্ট
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই বলেন, “বাংলায় আন্দোলনের লগ্ন জন্ম হয়েছে,” অথচ আন্দোলনকারীদের প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই, কথা বলার প্রয়োজনও অনুভব করেন না। এ এক অদ্ভুত দ্বিচারিতা। ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বারবার ঘোষণা দিয়েছেন যে মার্চ (March) মাস থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বেতন দেওয়া হবে, অথচ বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। এমনকি তিনিও স্বীকার করেছেন, সমস্যার সমাধান হলে যারা টাকা নিয়েছে, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতারণার আবরণে ঢাকা পড়ে আছে আসল সত্য।
এসএসসি (SSC) কর্তৃপক্ষও সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী নয়। যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করলেই অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেত, কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনাও সময় নষ্ট ছাড়া কিছু নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
দেউচা পাঁচামি নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Ecopark) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের হাজার হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতিও আজ এক মিথ্যা আশ্বাসে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (Tuesday) তিনি মেদিনীপুরে আবার যাচ্ছেন, ভাবছেন সেখানে গিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুরনো জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু মানুষ আর এই ঢপবাজির রাজনীতি সহ্য করবে না। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে—স্কুল আছে, শিক্ষক নেই, পরীক্ষা আছে, ফলাফল নেই। এই অচলাবস্থার দায় কার?