নিউজ পোল ব্যুরো: শীতকালে উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আরও মোহময় হয়ে ওঠে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোরের প্রকৃতি, হালকা রোদের উষ্ণতা, আর পাহাড়ের মেঘছোঁয়া দৃশ্য যেন শীতের দিনে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দই বাড়িয়ে তোলে। শীত মানেই চড়ুইভাতি বা পিকনিকের মরশুম। প্রতিবছরই আমরা নতুন নতুন জায়গা খোঁজ করি পিকনিকের জন্য। উত্তরবঙ্গের এমনই এক গোপন রত্ন হল শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এমএম তরাই, যা এখন পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এমএম তরাই গ্রামটি একদম কোলাহলমুক্ত এবং শান্ত পরিবেশে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বালাসন নদী এবং দূর থেকে দেখা মিরিক ও কার্শিয়াং-এর পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য এখানে পর্যটকদের মুগ্ধ করে। যাঁরা পাহাড়ের সৌন্দর্য ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই জায়গা এক আদর্শ গন্তব্য। এখানে বসে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব দৃশ্য একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। যাঁরা পিকনিক করতে চান, তাঁরা সহজেই এই জায়গাটিকে বেছে নিতে পারেন। নদীর জলে পা ভিজিয়ে প্রকৃতির নৈঃশব্দ্যের সাথে মিশে যাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অনবদ্য। শিলিগুড়ি থেকে এমএম তরাই যাওয়া খুবই সহজ। শিলিগুড়ি থেকে যাত্রীবাহী বাসে মাত্র ৩০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া যায় বাগডোগরা পানিঘাটা মোড়। সেখান থেকে ছোট গাড়িতে জনপ্রতি ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে এমএম তরাইয়ে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জায়গাটি অনেক পর্যটকের কাছে এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাগডোগরা ফরেস্ট রেঞ্জের কার্শিয়াং ডিভিশনের উদ্যোগে এমএম তরাইকে ইকো-ট্যুরিজম স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সৌন্দর্যায়নের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। নদী সংস্কারের পাশাপাশি এখানে তৈরী হয়েছে দোলনা ও বাঁশের সেতু। ফলে পিকনিক করতে আসা মানুষজনের জন্য এখানে বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এমএম তরাই ভ্রমণের পাশাপাশি ঘুরে আসা যায় পানিঘাটা, দুধিয়া ব্রীজ এবং মিরিকের মতো জায়গাগুলি। এই স্থানগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের মন জয় করে নেবে। শীতের দিনে একদিনের জন্য একটি শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য এমএম তরাই একদম উপযুক্ত। তাই, এবার পিকনিকের পরিকল্পনা করুন এবং পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে এই সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসুন এই অপরূপ সুন্দর জায়গায়।