বন্ধ হবে সমস্ত অবৈধ টোটো

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: শীঘ্রই বন্ধ হতে চলেছে টোটো তৈরীর একাধিক কারখানা।হাওড়ায় অবৈধ টোটো তৈরি রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হবে কারখানা। গোটা বিষয়টাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

বেআইনিভাবে টোটো তৈরি নিয়ে শুরু থেকেই একাধিকবার অভিযোগ তোলেন ই–রিকশা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। অবৈধভাবে টোটো তৈরী করায় তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাঁদের। ফলে ব্যবসা ক্রমশই ভিনরাজ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে একাধিক ই–রিকশা তৈরির কারখানা। কারখানাগুলিতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে দেশি প্রযুক্তিতে হাজার হাজার ই–রিকশা। কর্মসংস্থানও হয়েছে বহু শ্রমিকের। তবে একদা ই–রিকশার চেসিস থেকে নাট বল্টু, ব্যাটারি সবই আসত চীন থেকে। আমদানি করা সামগ্রী এ্যাসেম্বল করে এই ব্যবসা শুরু হয়েছিল রাজ্যে। সেক্ষেত্রে খুব বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হত না। এখনও সেই পদ্ধতিতে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু কোম্পানি।
বর্তমানে রাজ্যের বেশিরভাগ কোম্পানি ই–রিকশা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও চীনা সামগ্রী ব্যবহার করে না। গাড়ির চেসিস ওয়ারিং, মোটর, ব্যাটারি থেকে শুরু করে নাট বল্টু, বসার আসন, লাইট সবই তৈরি হয় তাঁদের কারখানায়। ব্যবহার করা হয় দেশি কোম্পানির তৈরি ব্যাটারি। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। একাধিক প্রস্তুতকারক সংস্থা তাঁদের তৈরি ই–রিকশা বিদেশেও পাঠাচ্ছেন।

এ বিষয়ে হাওড়া জেলার ই–রিকশা কোম্পানির কর্ণধার সৌরভ দামানি জানান, অবৈধ টোটোতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। অবৈধভাবে টোটো তৈরি করে তা কম দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সরকারের পাশাপাশি তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ওদের কোনও রকম ট্যাক্স ইন্সুরেন্স কিছুই লাগছে না। যাত্রীদের ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। কিন্তু বৈধ ভাবে সরকার অনুমোদিত এই ব্যবসা করতে গিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রধান সমস্যা ই–রিকশা রেজিস্ট্রেশন। কোনও জেলার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার ডিলারের ট্রেড সার্টিফিকেট অর্থাৎ আটকে রাখছেন। অধিকাংশ জেলায় রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না।