নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফের বিপাকে সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি মিলেছে রাজ্যের। নিম্ন আদালতে চলেছে প্রক্রিয়াকরণ। তার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ আরজি কর কাণ্ডের দুর্নীতি মামলার অভিযোগে অভিযুক্ত ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ ও আশীষ পান্ডে। তাঁদের দাবি, কলকাতা হাই কোর্টের আদেশের পরিবর্তন। এর ভিত্তিতে মামলা রুজুর আবেদন গ্রহণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
উল্লেখ্য, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় হাই কোর্টের ৭ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ পরিমার্জন করার আবেদন করতে এসে অস্বস্তি বাড়লো সন্দীপ ঘোষদের। ওই মামলায় এরই মধ্যে একটি লিখিত আবেদন করেছে সন্দীপ ও আশীষ পান্ডে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তার দ্রুত শুনানির আবেদন করেন আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, হাই কোর্টের ওই নির্দেশের ফলে সিবিআই তিন দিনের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করতে চাইছে। যা বাস্তবে অসম্ভব। তাই হাই কোর্টের আগের দেওয়া রায় পরিমার্জনের আবেদন করেন। বিচারপতি তাতে আমল না দিয়ে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকে নোটিশ পাঠিয়ে ফের আবেদন করতে পরামর্শ দেন।
যদিও বিচারপতি ঘোষের পরামর্শ, নিম্ন আদালতে গিয়ে আপনারা আপনাদের বক্তব্য পেশ করুন। কেন সাত দিনের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল, এদিন তা খোলসা করতে গিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আরজি কর দুর্নীতির মামলায় বিচারে সিস্টেমেটিক ডিলে করা হচ্ছে। কে করছে, কেন করছে আমি সেই দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু গত নভেম্বরে চার্জশিট দেওয়ার পরেও ট্রায়ালে দেরি হচ্ছে এটা লক্ষ্য করেছি।
আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং আশীষ পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন আক্তার আলী। এই মামলার প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে গতকাল চার্জশিট গ্রহণ করেছে নিম্ন আদালত। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসের দ্বারস্থ সন্দীপ ঘোষ ও আশিস পান্ডে। দাবি, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে যে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছে তা পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। ১০ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেটা পড়ার প্রয়োজন রয়েছে দ্রুত শুনানি হলে অভিযুক্তদের পক্ষে সেই মামলা অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই এই আবেদন তাঁদের।