Tutankhamun: কন্ডোম ব্যবহার করতেন মিশরের বালক ফ্যারাও, লিঙ্গ উত্থিত ৯০ ডিগ্রি

অফবিট

নিউজ পোল ব্যুরো: ব্রিটিশ ধনকুবের লর্ড কার্নারভনের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁরই স্বদেশী প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার ১৯২২ সালে মিশরের (Egypt) অকালপ্রয়াত বালক ফ্যারাও তুতেনখামেনের (Tutankhamun) সমাধি আবিষ্কার করেছিলেন। যদিও সে ঘটনাটি এক অলৌকিকতার মোড়ক পেয়েছে যেহেতু এই সমাধি আবিষ্কারের পরপরই একই দিনে যথাক্রমে কায়রো এবং লন্ডনে মৃত্যু হয় লর্ড কার্নারভন এবং তাঁর পোষা কুকুরটির। এছাড়া কার্টারের এক সহযোগীও আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: জানেন হরিদাস পাল আসলে কে? রইলো বিস্তারিত পরিচিতি

তবে শুধুমাত্র এই অলৌকিকতার কারণেই নয়, তুতানখামেনের (Tutankhamun) সমাধি আবিষ্কার মিশরের ইতিহাসে অন্যতম তাৎপর্যবাহী ঘটনা হয়ে উঠেছে আরও একটি বিষয়ে। আর তা হল, বালক ফ্যারাওয়ের সমাধিতে কন্ডোম (Condom) খুঁজে পাওয়া। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেয়, সুপ্রাচীনকাল থেকেই মিশরীয়রা যৌনতা নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিল। এবং তারা কন্ডোমের ব্যবহারও জানত।

পিতা আখেন-আতেনের মৃত্যুর পর মাত্র ৯ বছর বয়সেই মিশরের সিংহাসনে বসেছিলেন বালক ফ্যারাও তুতেনখামেন (Tutankhamun)। শোনা যায়, তাঁর পিতা-মাতা ছিলেন সম্পর্কে ভাই-বোন। তাই ছোট থেকেই রুগ্ন ছিলেন তুতেনখামেন। ১০ বছর রাজত্ব করার পর মাত্র ১৯ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় তাঁর। যে মৃত্যু নিয়েও রহস্যের শেষ নেই। কেউ কেউ বলেন, তুতেনখামেনের স্ত্রী আনেখসেনামুনই ক্ষমতার লোভে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেন। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করে পরবর্তীকালে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে ম্যালেরিয়ার জীবাণু সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছিল বালক ফ্যারাওয়ের। এছাড়া কারও মতে, জিনগত সমস্যার ফলে কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তুতেনখামেনের মৃত্যু ঘটেছিল।

যাই হোক, বাকি ফ্যারাওদের তুলনায় তুতেনখামেনের সমাধি বেশ ছোটই ছিল। আর সেখানে সোনার শবাধারে তাঁর মমির সঙ্গে পাওয়া যায় চামড়ার একটি ছোট্ট থলি। যার সঙ্গে কোমরের সঙ্গে বেঁধে নেওয়ার জন্য ফিতে। অনেক গবেষণার পর বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বস্তুটি কন্ডোম ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে গরুর পাতলা চামড়া দিয়ে তৈরি এই কন্ডোম স্বয়ং তুতেনখামেনই ব্যবহার করেছিলেন। এরপর তাঁর মৃত্যুর পর গর্ভনিরোধক হিসেবে সেটি তার মমির সঙ্গে দেওয়া হয়।

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় বিশ্বাস করা হত, মৃত্যুর পরেও একটি জীবন রয়েছে। তাই মৃত ব্যক্তির সেই জীবন যাপনে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই মমির সঙ্গে সোনারূপাসহ জীবন ধারণের নানাবিধ সামগ্রী দেওয়ার রীতি চালু ছিল। একই কারণে তুতেনখামেনের (Tutankhamun) সমাধিতে নিরোধ দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল, তুতেনখামেনের লিঙ্গটি প্রায় ৯০ ডিগ্রি উত্থিত করে তারপর তাঁকে মমি করা হয়। এর নেপথ্যে অবশ্য ধর্মীয় ব্যখ্যা থাকতে পারে। কারণ, বালক ফ্যারাও তুতেনখামেনকে কেউ কেউ মিশরীয় দেবতা ওরিসিসের অবতার বলে দাবি করতেন। হয়ত সে কারণেই তাঁর লিঙ্গ ৯০ ডিগ্রি উত্থিত করে মমি করা হয়। যদিও সেই উত্থিত লিঙ্গ পরবর্তীতে নিখোঁজ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেটি ভেঙে অন্যত্র রাখা হয়েছিল।