নিউজ পোল ব্যুরো: ২০১৮ সালে ভারতের শীর্ষ আদালত (Supreme Court of India) পরকীয়াকে (Adultery) অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে অপরাধমূলক বলে গণ্য না করার নির্দেশ দিয়েছিল। এবার মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট (Madhya Pradesh High Court) পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে নতুন এক দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছে। হাই কোর্টের মতে(Madhya Pradesh Hight Court), স্বামীর বাইরে কোনও নারীর অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক (Physical Relationship) না থাকলে সেটি পরকীয়া হিসেবে গণ্য করা যাবে না।
মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি দাম্পত্য কলহের (Marital Dispute) কারণে স্থানীয় পারিবারিক আদালতে (Family Court) দ্বারস্থ হন। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে (Interim Maintenance) স্বামীকে ৪ হাজার টাকা স্ত্রীকে ভরণপোষণ (Maintenance) বাবদ দেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু স্বামী সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে(High Court) মামলা করেন। তার দাবি ছিল, স্ত্রী অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করছেন, তাই তাকে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা উচিত নয়। মামলাটি খতিয়ে দেখে বিচারপতি জিএস আহলুওয়ালিয়া (Justice GS Ahluwalia) স্পষ্ট জানান, শুধুমাত্র শারীরিক(Physical Intimacy) সম্পর্ক প্রমাণিত হলে পরকীয়ার অভিযোগ ধরা যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও যদি তা শারীরিক না হয়, তবে সেটিকে আইনত পরকীয়া বলা যাবে না। স্বামী আদালতে দাবি করেন, তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে (Hospital) ওয়ার্ড বয়ের (Ward Boy) কাজ করেন এবং মাসিক আয় মাত্র ৮ হাজার টাকা। এই আয়ের অর্ধেক স্ত্রীকে দিতে তিনি অক্ষম। তার এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি। তিনি বলেন, “যদি আর্থিক সক্ষমতা না থাকে, তবে কেন বিবাহ করেছিলেন?” আর্থিক অক্ষমতা থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে স্বামীকে বাধ্য করা হয়।
মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট (Madhya Pradesh High Court) মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় এবং পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রাখে। আদালতের(Court) এই রায় পরকীয়া সংক্রান্ত আইনগত ব্যাখ্যায় একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হয়ে থাকল। এই রায়ের মাধ্যমে পরকীয়া(Extra Marital Affair) সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে আইনত স্পষ্টতা প্রদান করা হলো, যা ভবিষ্যতে আরও অনেক মামলার নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।
