নিউজ পোল ব্যুরো: সম্পত্তি (property) ভাগাভাগির ঘটনা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু এবার সামনে এলো এক অভিনব ঘটনা, যেখানে স্বামীকে দুই স্ত্রীর মধ্যে ভাগ(Two Wives One Husband) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়া (Purnia) জেলার পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে (family counseling center)। আর এই সিদ্ধান্ত এসেছে পুলিশের উপস্থিতিতে, যা চমকে দেওয়ার মতো এবং কিছু মানুষের কাছে মজারও হতে পারে। ঘটনার সূত্রপাত এক মহিলার অভিযোগ থেকে। তিনি থানায় জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন এবং কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছেন না। বিষয়টি পারিবারিক হওয়ায়, পুলিশ এই কেসকে পরিবারের পরামর্শ কেন্দ্রে পাঠায়।
পরামর্শ কেন্দ্রে হাজির হন স্বামী-স্ত্রী। অভিযোগকারী জানান, সাত বছর আগেই তাঁর স্বামী তাঁকে না জানিয়েই আরেকটি বিয়ে করেছেন(Two Wives One Husband)। এই গোপনীয়তার কারণে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে, যার পড়াশোনার খরচ স্বামী দেন না। স্বামী এখন নতুন স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন এবং তাঁকে দেখা করতে দেন না। অস্বস্তিকর পরিস্থিতির(Two Wives One Husband) মধ্যে দুই পক্ষের ঝগড়া থামানোর জন্য পুলিশ জানায়, যদি সমাধানে পৌঁছানো না যায়, স্বামীকে জেলে পাঠানো হবে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ সুপারের (SP Karthikey Sharma) তত্ত্বাবধানে তিন পক্ষের আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সপ্তাহে স্বামী তিন দিন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে এবং তিন দিন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন(Two Wives One Husband)। বাকি এক দিন থাকবে তাঁর উইকঅফ (week-off)। এই ছুটির দিনটি তিনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কাটাতে পারবেন, যেকোনও স্ত্রীর সঙ্গে বা একান্তই একা।এছাড়া, সন্তানের পড়াশোনার জন্য প্রথম স্ত্রীকে প্রতি মাসে চার হাজার টাকা দিতে হবে। দুই পক্ষই এই শর্ত মেনে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
এই বিচিত্র সিদ্ধান্তটি প্রেম দিবসের (Valentine’s Day) দিনে হওয়ায় আরও নজর কেড়েছে। পুলিশের এই মধ্যস্থতা অনেক আলাদা হয়ে যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও নতুন করে মিলিয়ে দিয়েছে। বিহারের পূর্ণিয়ার পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র এমন ঘটনার(Two Wives One Husband) সমাধান করে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এমন ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, জটিল পারিবারিক সমস্যার সমাধানও হাস্যকরভাবে হতে পারে, যা মানুষের মনে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে।