বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: মহাশিবরাত্রি (Maha Shivaratri) হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র দিন। যদিও দিনের থেকে রাতের গুরুত্বই বেশি এক্ষেত্রে। কারণ শিবরাত্রি কথার অর্থ হল, যে রাতটি শিব অর্থাৎ দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কিন্তু জানেন কি মহাশিবরাত্রি কেন পালিত হয়? দিনটির তাৎপর্য কী?
আরও পড়ুনঃ Akal Bodhon: রামের অকালবোধনে স্বয়ং রাবণ-ই ছিলেন পুরোহিত! কী বলছে পুরাণ?
অনেকেরই হয়ত জানা নেই যে প্রতিমাসেই একটি করে শিবরাত্রি হয়। তবে এর মধ্যে মহাশিবরাত্রির গুরুত্বই সর্বাপেক্ষা বেশি। যা পালিত হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে। কথিত, এইদিনেই বিয়ে হয়েছিল শিব-পার্বতীর। তাই শিব-শক্তির মিলনের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই পালিত হয় মহাশিবরাত্রি (Maha Shivaratri)। উল্লেখ্য, দেবী পার্বতী হিন্দু ধর্ম অনুসারে ব্রহ্মের সর্বোচ্চ প্রকাশ শক্তির-ই একটি রূপ।
হিন্দু ধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী শিব এবং শক্তির মিলনেই এই জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। শিব এবং শক্তিকে অবিচ্ছেদ্য সেইসঙ্গে অভিন্নও মনে করা হয়। মনে করা হয়, শিব নিজেও শক্তির প্রতীক। তাই মহাশিবরাত্রি (Maha Shivaratri) পালন একদিক থেকে দেখতে গেলে শক্তির-ই আরাধনা করা।
নিউজপোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
আরেকটি কিংবদন্তি অনুসারে, শিবরাত্রিতে ভগবান শঙ্কর সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়ের মহা তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। তবে মহাদেব তো শুধু শক্তি বা ধ্বংসের প্রতীক নন, সেইসঙ্গে আত্মসংযম এবং ত্যাগেরও প্রতীক। তাই শিবরাত্রি উৎসব তেমন একটা আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয় না। বরং এদিন জল, দুধ, মধু, ফল এবং ধুতরা ফুল সহযোগে মহাদেবের পুজো করার পর ধ্যান করার রীতি রয়েছে। অবিবাহিত মেয়েরা শিবের মত স্বামী পাওয়ার আশায় এবং বিবাহিত মহিলারা স্বামীদের মঙ্গল কামনায় মহাশিবরাত্রি ব্রত পালন করেন। এছাড়া পুরুষরাও এই ব্রত পালন করেন। এই বছর মহাশিবরাত্রি পড়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার।