নিউজ পোল ব্যুরো: বুধবার মহাশিবরাত্রি (Maha Shivaratri)। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতি মাসে একটি করে শিবরাত্রি থাকলেও ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রির তাৎপর্য সবথেকে বেশি। যেজন্য একে বলা হয়, মহাশিবরাত্রি। এদিন সারাদিন উপোস থেকে মহাদেবের পুজো করলে তাঁর কৃপালাভ হয়।
আরও পড়ুনঃ Maha Shivaratri 2025: সাবধান! শিবরাত্রির দিন ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি
কিন্তু মহাশিবরাত্রিতে (Maha Shivaratri) কীভাবে করবেন বাবা ভোলানাথের পুজো? প্রত্যেক পুজোরই একটি করে নির্দিষ্ট বিধি থাকে। যা জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই মহাশিবরাত্রির আগে চলুন এক নজরে দেখে নিই, শিব পুজোর সঠিক পদ্ধতিটি ঠিক কীরকম।

মহাদেবকে বলা হয় দেবাদিদেব। অর্থাৎ সকল দেবতার ঊর্ধ্বে তিনি। যাঁর আদিও নেই, আবার অন্তও নেই। তাই মহাদেবকে যে পুজোটা যে একটু ভক্তি এবং নিষ্ঠা সহকারেই করতে হয় তা বলাই বাহুল্য। চাইলে আপনি মহাশিবরাত্রির (Maha Shivaratri) দিন যেকোনো মন্দিরে গিয়ে মহাদেবের পুজো করতে পারেন। আবার চাইলে নিজের বাড়িতে পুরোহিত ছাড়াই পুজো করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন, মহাশিবরাত্রির পুজো চার প্রহরে ভাগ করে করা হয়। প্রতি প্রহরে একবার করে শিবলিঙ্গে দুধ, জল, মধু, দই, ঘি চন্দন ইত্যাদি নিবেদন করতে হয়।
বাবা ভোলানাথের পুজোয় আড়ম্বরের প্রয়োজন নেই। কারণ তিনটি বেলপাতাতেই সন্তুষ্ট তিনি। তাই মনে ভক্তি থাকলে পুরোহিত ছাড়া নিজে নিজে অনায়াসে করা যায় শিবের পুজো। তবে সেজন্য অবশ্যই পুজোর সঠিক নিয়মগুলি জানা প্রয়োজন।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
মহাশিবরাত্রিতে (Maha Shivaratri) প্রথমে সকাল সকাল স্নান সেরে উপবাসের সংকল্প রাখতে হয়। এরপর গঙ্গাজল, দুধ, মধু ইত্যাদি দিয়ে দেবাদিদেবের অভিষেক করতে হবে। সেইসঙ্গে দীপ এবং ধূপ জ্বালিয়ে বেলপাতা এবং ধুতরা ফুল সহযোগে পাঁচ রকম ফল এবং মিষ্টি নৈবদ্য হিসাবে নিবেদন করতে হবে। এছাড়া মনে রাখবেন, প্রতি প্রহরে শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর সময় “ওঁ নমঃ শিবায়” বা মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে হবে।