নিউজ পোল ব্যুরো: ডিভোর্স কেস (Divorce Case) সংক্রান্ত মামলায়(Sovan-Baishakhi) কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) বড়সড় ধাক্কা খেলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য (Justice Hirnamay Bhattacharyya)।শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বর্তমানে আলিপুর আদালতে (Alipore Court) বিচারাধীন। রত্না চট্টোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, সেই বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ (Stay Order) লাগুক। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ, নিম্ন আদালতে (Lower Court) মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের (Witness Examination) পর ট্রায়াল (Trial) শুরু হবে। কিন্তু রত্নার দাবি, তিনি আরও সাক্ষী পেশ করতে চান, যা করার সুযোগ তাঁকে দেয়নি নিম্ন আদালত। সেই কারণেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিম্ন আদালতেই এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। এই মামলার শুনানির সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের(Sovan-Baishakhi) আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) সম্পর্কে রত্না চট্টোপাধ্যায়(Ratna Chatterjee) কিছু অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই কারণে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রত্নাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। রত্না চট্টোপাধ্যায় একটি মেসেজের (Message) মাধ্যমে ক্ষমা চাইলেও, তাতে সন্তুষ্ট হননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, রত্নাকে নিঃশর্ত ক্ষমা (Unconditional Apology) চাইতে হবে। বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, কোর্টের ভিতরে আইনজীবীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক (Argument) স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সেই বিতর্ক আদালতের বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন, দুই পক্ষ(Sovan- Baishakhi) নিজেদের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে, যাতে আদালতকে আলাদা করে এই বিষয়ে শুনানি করতে না হয়। এরপর ফের শুনানি শুরু হলে, বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য রত্না চট্টোপাধ্যায়ের(Ratna Chatterjee) আবেদন খারিজ করে দেন। অর্থাৎ, আলিপুর আদালতেই এই ডিভোর্স মামলা চলবে এবং সেটির বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। এই মামলার রায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে গেলেও, রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার বিষয়।