নিউজ পোল ব্যুরো: যাদবপুরের পড়ুয়াকে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এবারে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু বলে দাবি করলেন সাংসদ তথা বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বুধবার সকালে কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তার আগে বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে তাঁর এও দাবি যে তৃণমূল মুসলমানকে মানুষ মনে করে না।
আরও পড়ুনঃ Trump Vs Zelenskyy: বৈরীতা ভুলে কাছাকাছি আমেরিকা-রাশিয়া? ফুঁসছে ইউক্রেন
বিভিন্ন ঘটনায় বারবার প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে যাদবপুর। সম্প্রতি সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা দেয় এক শিক্ষার্থীকে। এর প্রতিবাদে সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর দিন ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শমীক (Samik Bhattacharya) এদিন বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী জেলে। বর্তমানে যিনি শিক্ষামন্ত্রী তিনি হাসপাতালে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা পঙ্গু।”

বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, “যাদবপুরে এই যে অচলাবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। বিভাজনের রাজনীতি, কিছু অতি বাম ভারত বিরোধী শক্তির সক্রিয়তা আর তাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন। এটা সামগ্রিকভাবে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করে।” বিভাজনের রাজনীতি প্রসঙ্গে এখানেই ইতি টানেননি বিজেপির মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিন্দু ওবিসি তালিকার পাশাপাশি মুসলিম ওবিসি নিয়ে জাতি গণনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে। তারা মুসলমানদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। কেবলমাত্র ভোটার হিসেবে গণ্য করে।”
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সাগরদিঘিতে দলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে। তা নিয়ে বলতে গিয়ে শমীক (Samik Bhattacharya) জানান, “তৃণমূল মহিলা বা পুরুষ মানে না। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়। এটাই হল তৃণমূলের কালচার। এর পাশাপাশি মমতার ‘ভুতুড়ে ভোটার’ অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী বারবার ভোটার লিস্টে গরমিলের অভিযোগ করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন না। কারণ, তিনি জানেন ভোটার লিস্ট নিয়ে অভিযোগ করার মত কিছু নেই।