Mushfiqur Rahim: কাকতালীয়ভাবে বিদায় ভারতের হারে খুশি হওয়া মুশফিকুরের

ক্রিকেট ক্রীড়া

নিউজ পোল ব্যুরো: ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারত হেরে বিদায় নিতেই সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন ভারতকে হারতে দেখে মনটা খুশিতে ভরে যায়। কাকতালীয়ভাবে সেই ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ওঠার পরই ওডিআইতে নিজের অবসর ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahim)। বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ Mohammed Shami: গম্ভীর-রোহিতের বিপরীতে হাঁটলেন শামি, বড় মন্তব্য ফাইনালের আগে

বুধবারই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হারের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কাকতালীয়ভাবে একই দিনে এল মুশফিকের অবসরে সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যায় তারা। এরপর বৃষ্টির কারণে অমীমাংসিত থাকে পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচটি।

২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটার পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে ২৭৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী মুশফিক (Mushfiqur Rahim)। ৯টি শতক সহযোগে করেছেন মোট ৭৭৯৫ রান। পাশাপাশি দস্তানা হাতে ২৪৩টি ক্যাচ এবং ৫৬টি স্টাম্পিংয়ের মালিক তিনি। এদিন নিজের অবসরের পোস্টে কোরানের উদ্ধৃতি তুলে ধরে মুশফিক লেখেন, “আজ একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। বিশ্ব ক্রিকেটে আমাদের সাফল্য সীমিত। তবে একটা কথা জোর দিয়েই বলতে পারি যে, যখনই দেশের হয়ে নেমেছি তখনই ১০০ শতাংশেরও বেশি সততা এবং অধ্যাবসায়ের সঙ্গে খেলেছি।”

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর মুশফিকুর রহিমের (Mushfiqur Rahim) সেই বিতর্কিত পোস্ট আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে। বাংলাদেশি উইকেটরক্ষকের পোস্টে সেদিন সরাসরি ভারত বিদ্বেষ ফুটে উঠেছিল। কাকতালীয়ভাবে ভারতের কাছে হেরেই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাঁর দলকে। আর মেন ইন ব্লু ফাইনালে উঠতেই করে দিলেন অবসরের ঘোষণা। মুশফিক বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমার মনে হয়েছে এটাই ভবিতব্য। আমার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের ধন্যবাদ। ওদের জন্যই ১৯ বছর ধরে খেলতে পেরেছি।”