নিউজ পোল ব্যুরো: নদিয়া জেলার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের (Tehatta Hospital) শিশু বিভাগে ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Nadia Incident)। সোমবার বিকেল থেকে একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরিবারের অভিযোগ, শিশুদের শরীরে একাধিক ইনজেকশন প্রয়োগের পরই দেখা দেয় শারীরিক সমস্যা (Injection Side Effects)। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেই।হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধে পর্যন্ত শিশুরোগ বিভাগে প্রায় ৩০ জন শিশু ভর্তি ছিল। মূলত জ্বর, পেট খারাপ, বমি ও অন্যান্য সাধারণ অসুস্থতার কারণে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, শিশুদের শরীরে জ্বর ও বমির সমস্যা কমাতে একাধিক ধরনের ইনজেকশন (Injection Side Effects) প্রয়োগ করা হয়, যার পরেই অনেক শিশুর শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
আরও পড়ুন:- Waqf Bill: ওয়াকাফ বিলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিক্ষোভ মিছিল
শিশুদের অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে তাদের বাইরে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ (Antibiotic Injection Issue) কিনে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তারা স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে বিভিন্ন সংস্থার ইনজেকশন ও অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা সেই ওষুধ প্রয়োগ করেন শিশুদের শরীরে। পাশাপাশি, হাসপাতাল থেকেও বিভিন্ন ইনজেকশন দেওয়া হয় (Nadia Incident)। এই ওষুধ ও ইনজেকশনের মিলিত প্রভাবে একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। শিশুদের মধ্যে কারও মুখ দিয়ে গ্যাজলা বের হতে থাকে, কারও বমির পরিমাণ বেড়ে যায়, আবার কারও জ্বর হঠাৎ বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
নীলরতন বৈরাগ্য নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “আমার ন’বছরের নাতনি ভর্তি ছিল। বাইরে থেকে একটি সংস্থার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ এনে দিই। সেই ইনজেকশন দেওয়ার পর ওর মুখ দিয়ে গ্যাজলা বের হতে থাকে, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।” একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রীতবাস সরকার নামের আর এক অভিভাবক। তিনি বলেন, “সাড়ে সাত বছরের ছেলে চারদিন ধরে ভর্তি। সকালে বাইরে থেকে আনা ওষুধ ও অন্যান্য ইনজেকশন দেওয়ার পর প্রথম অসুস্থ হয়। দুপুরে আবার ওই একই ইনজেকশন দেওয়ার পর ফের শরীর খারাপ করে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে (Shaktinagar District Hospital) স্থানান্তরিত করি।” হাসপাতাল সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি বলেন, “প্রায় ৩০ জন শিশু ভর্তি ছিল। তারা বিভিন্ন কারণে চিকিৎসাধীন ছিল এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কোন ইনজেকশন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। গোটা ঘটনাটি (Nadia Incident) খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”বর্তমানে হাসপাতাল থেকে অন্তত ৯ জন অসুস্থ শিশুকে দ্রুত শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাসকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।