নিউজ পোল ব্যুরো: আজ ১৪ এপ্রিল, সোমবার। প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে উদযাপিত হয়—এই দিনটিই ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী (Ambedkar Jayanti 2025)। এই দিনটি ‘ভীম জয়ন্তী’ (Ambedkar Jayanti, Bhim Jayanti, Constitution of India, Babasaheb Ambedkar) নামেও পরিচিত এবং সারা দেশে তথা বিদেশের ভারতীয় প্রবাসীদের মধ্যেও অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। ডঃ আম্বেদকর শুধুমাত্র ভারতীয় সংবিধানের রচয়িতা নন, তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, আইনবিদ এবং অর্থনীতিবিদ। তাঁর জীবন ও কাজ একটি প্রেরণার উৎস, বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা এখনো সামাজিক বৈষম্যের শিকার বা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন:- Hanuman Jayanti 2025: জানেন কি? কেন দুবার পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী?

১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের একটি দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। ২০২৫ সালে তাঁর জন্মের ১৩৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, এবং এই বছরেও তাঁর ভাবনা ও আদর্শ সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ সোমবার, সারা ভারত জুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে মানুষ এই মহান নেতা ও সমাজ সংস্কারকের স্মৃতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এবং সামাজিক সংগঠনগুলোতে এই দিনটিতে (Ambedkar Jayanti 2025) তাঁর অবদান নিয়ে আলোচনা হয়, তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন হয়। বহু মানুষ জানেন না যে, আম্বেদকর জয়ন্তী প্রথম উদযাপিত হয়েছিল ১৯২৮ সালের ১৪ এপ্রিল, পুনে শহরে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন সমাজকর্মী জনার্দন সদাশিব রণপিসে। সেই সময় থেকেই প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। ধীরে ধীরে এই দিনটি একটি জাতীয় পর্যায়ের উৎসব হয়ে উঠেছে এবং আজকের দিনে বিশ্বের বহু প্রান্তে ভারতীয় প্রবাসীরা এই দিনটি শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করেন।
ডঃ আম্বেদকর যে সংবিধান রচনা করেন, তা ভারতকে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি নির্ভীকভাবে দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, এবং নারীদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর জীবন ছিল সংগ্রামের (Ambedkar Jayanti 2025) এক দীর্ঘ অধ্যায়—যেখানে তিনি কখনোই পিছিয়ে যাননি, বরং শিক্ষা ও সচেতনতা দিয়ে সমাজের রূঢ় প্রথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
ডঃ আম্বেদকরের কিছু বক্তব্য আজও নতুন প্রজন্মকে সাহস, আত্মবিশ্বাস ও শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে সাহায্য করে। নিচে তাঁর কিছু অমর উক্তি তুলে ধরা হলো, যা আজকের সমাজেও সমানভাবে প্রযোজ্য—
-‘শিক্ষা হলো স্বাধীনতার সোনালী দরজা খোলার চাবিকাঠি।’
-‘বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি হল পরিবর্তনের ক্ষমতা।’
-‘সামাজিক কুফলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিক্ষা একটি শক্তিশালী অস্ত্র।’
-‘একটি জাতি তার শাসকদের দ্বারা নয়, বরং তার নাগরিকদের দ্বারা গঠিত হয়।’
-‘জাতিভেদ দূর করার একমাত্র উপায় হল শিক্ষা।’
-‘দারিদ্র্য দূরীকরণের একমাত্র সমাধান হল শিক্ষা।’
-‘শিক্ষা হল অগ্রগতির মেরুদণ্ড।’
-‘একটি জাতির ভবিষ্যৎ তার যুবসমাজের শিক্ষার উপর নির্ভর করে।’
-‘শিক্ষা হল সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি।’