Nandigram : নন্দীগ্রামে গরুপাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, মৃত গাড়ির চালক

breakingnews অফবিট জেলা

নিউজ পোল বাংলাঃ প্রতিদিনের মত বুধবার রাতেও নন্দীগ্রামের (Nandigram) রাস্তায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ গাড়ি। রাতের অন্ধকারে গরুপাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ (Police)। দুষ্কৃতিদের গাড়ি আটকাতে গিয়ে ঘটেছে বড় বিপদ। দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হয় দুই পুলিশ ও গাড়ির চালক। পরে চিকিৎসা কেন্দ্রে মৃত্যু হয় পুলিশ গাড়ির চালকের। গুরুতর আহত হন দুই পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর মৃত পুলিশ গাড়ির চালকের নাম সহদেব প্রধান। বাড়ি নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া ফাঁড়ির পুলিশের গাড়ি যখন নন্দীগ্রাম-চন্ডিপুর রাজ্য সড়কে টহল দিচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে বুধবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি গাড়িতে করে ষাঁড় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। গাড়ি দেখে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি আটকানো চেষ্টা করে। সেই সময়েই দুষ্কৃতিদের গাড়িটি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনায় পুলিশ গাড়ির চালক ও দুই পুলিশ গুরুতর আহত হয়। ভোরের দিকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে গাড়ির চালক সহদেবকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসক। দুই পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটির খোঁজ শুরু করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ Wheather Update : সপ্তাহ শেষে স্বস্তি দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা? যা বলছে হাওয়া অফিস

নন্দীগ্রামের (Nandigram) স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “বেশকিছু দিন ধরে রাস্তার ষাঁড় ধরে নিয়ে যাচ্ছে এক সম্প্রদায়ের মানুষ। শাসকদল তৃণমূলের মদতে রাজ্যের পুলিশ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। যার কারনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নন্দীগ্রামে অশান্তি করে চলেছে। আমরা শুনেছি দুষ্কৃতিরা গাড়ির চালককে ভোজালু দিয়ে কপিয়ে খুন করেছে। আমরা মৃতের সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সঠিক তদন্তের দাবিতে রেয়াপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বিজেপি সমর্থিত নেতারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বরা। তারা বলেছেন, “যেকোনো মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু তাতে রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয়। আমরাও চাই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের কোঠর শাস্তি হোক।” মৃত সহদেবের আত্মীয় খোকন বেরা জানান, “সকালে খবর পাই। শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে স্বাস্থকেন্দ্রে এসে দেখি সহদেবের মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি তাঁর সৎকার করার জন্য যেন সুব্যবস্থার পাশাপাশি পরিবারের পাশে যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। পরিবারে বৃদ্ধা মা ও এক ভাই। উপার্জনের একমাত্র পথ ছিলো সহদেব। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়ছে পরিবারের লোকজন।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT