নিউজ পোল ব্যুরো: কলকাতার (Kolkata) বুক চিরে ছুটে চলা জনজীবনের মাঝখানে, ঠিক বৌবাজারের (Bowbazar) আগে ফুটপাথের পাশে একটি ক্ষুদ্র অথচ গভীরতায় পরিপূর্ণ শিব মন্দির (Kolkata Hidden Temple)—”হঠাৎ বাবার মন্দির”। এই নামটি যতটা অদ্ভুত, ততটাই রহস্যে মোড়া। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই শিবমন্দির (Kolkata Hidden Temple) শুধুই কোনও স্থাপত্য নয়! এটি এক অলৌকিক উপস্থিতির প্রতীক, এক আশ্চর্য দৈব সংযোগ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh in Ecopark: “সারাজীবন হাঁটলেও ওদের প্রেম হবে না”, খোঁচা দিলীপের
“হঠাৎ বাবা”এই নামের পেছনে লুকিয়ে আছে স্থানীয় মানুষের আস্থা, অনুভব এবং বহু বছর ধরে গড়ে ওঠা ভক্তির নিঃশব্দ কাহিনি। বলা হয়, একদিন এক পথচলতি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন ঠিক এই জায়গায়। সাহায্য আসে না কারোর কাছ থেকে। তখন তিনি প্রাণপণে মহাদেবের নাম জপতে থাকেন, আর আশ্চর্যজনকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই ‘হঠাৎ’ করেই মিলেছিল শিবের (Kolkata Hidden Temple) আশীর্বাদ, আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় এই নাম—”হঠাৎ বাবা”।
অনেকেই বলছেন, এমন নাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে উপযুক্ত নয়। বিশিষ্ট শাস্ত্রবিদ ডঃ জয়ন্ত কুশারী মত প্রকাশ করেছেন যে, দেবতার নামকরণে এমন আচমকা শব্দের ব্যবহার শাস্ত্রসম্মত নয়। তার মতে, ভক্তির প্রকাশ হোক যত গভীরই হোক না কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম হওয়া উচিত শুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তবুও, লোকমুখে ‘হঠাৎ বাবা’র নাম ছড়িয়ে পড়েছে যেন এক শহুরে কিংবদন্তির মতো। কেউ আসেন পরীক্ষার আগে প্রণাম করতে, কেউ অসুস্থ সন্তানের জন্য মাথা নত করেন, কেউ বা জীবনের সংকটে হঠাৎ আলোর খোঁজে এসে দাঁড়ান এই ছোট্ট মন্দিরের সামনে।
শাস্ত্রের বেড়া ডিঙিয়ে ভক্তি যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তারই এক জ্যান্ত উদাহরণ ‘হঠাৎ বাবা’। এখানে ঈশ্বর যেন নামের গণ্ডির বাইরেও বিরাজমান, মানুষের বিশ্বাস আর হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা আরাধনায়।