নিউজ পোল ব্যুরো: যুদ্ধের আবহে আরও একবার বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রোজকার মত শনিবার সকালেও নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা (BJP Leader)। সেখানে প্রথমে প্রাতঃভ্রমণ এবং শরীরচর্চা। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানকে (Pakistan) ফের তুলোধুনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ Dilip Ghosh : যুদ্ধ এক করেছে গোটা ভারতকে, ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’-তে মজে দিলীপ
জম্মু এবং অমৃতসরে লাগাতার ড্রোন হামলা (Drone Attack) চালাচ্ছে পাকিস্তান । যার পাল্টা দিয়েছে ভারতীয় সেনাও (Indian Army)। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “দু-তিনদিনেই পাকিস্তানের কোমর ভেঙে গিয়েছে। ভারত যেভাবে বাইরে থেকে ওদের আক্রমণ করছে তেমনি ওরাও চেষ্টা করছে। তবে ভারতের প্রযুক্তি বা ইঞ্জিনিয়াররা ওদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। ওদের হাতিয়ারকে ঢুকতে দিচ্ছে না। সে ড্রোন হোক বা মিসাইল হোক। ওদের দেশের (পড়ুন পাকিস্তানের) অস্ত্র ওদের দেশেই পড়ছে।” আরও বলেন, “পাকিস্তান লড়াই করবে কী করে? যদি লড়াই করতে যায় তাহলে খাবার জুটবে না দু-চারদিন পর। পেট্রোল-ডিজেল পাবে না। এখন সারা দুনিয়ার কাছে ভিক্ষা চাইছে, টাকাপয়সা দাও। লোকে তো আর লড়াই করার জন্য টাকাপয়সা দেবে না।”
যুদ্ধের জের এসে পড়েছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। সিন্ধু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)। এই প্রসঙ্গেও এদিন জানতে চাওয়া হয় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কাছে। যার জবাবে তিনি বলেন, “যুদ্ধবিগ্রহ চলছে। এখন অনেক কিছুই হবে। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হলে তখন বোঝা যাবে। শেয়ার বাজারেও যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। লোক বুঝতে পারছে না কী করবে। ভারত যেমন সিন্ধু চুক্তি বাতিল করল। কারণ পাকিস্তান কোনওদিন কোনও চুক্তি মানেনি। ভারত আজ তার জবাব দিচ্ছে।” এর পাশাপাশি শনিবার সেনার জরুরি বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যেদিন পহেলগাঁওয়ে জরুরি বৈঠক হল সেদিন থেকেই বহু বৈঠক হয়েছে। আমাদের সেই শক্তি ছিল যে আমরা সরাসরি আক্রমণ করতে পারি। কিন্তু দুনিয়াকে জানাতে হবে, আমরা কী করছি এবং কেন করছি। এখনও এমার্জেন্সিতে যেভাবে আক্রমণ করছে ভারত, পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে আমরা জানি না। সেইজন্য বৈঠক চলছে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা (Sacked Teachers) সল্টলেকের আচার্য সদনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন তুলতে চিঠি পাঠিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। এই নিয়েও এদিন প্রশ্ন করা হয় দিলীপ ঘোষকে। যার জবাবে তিনি জানান এই আন্দোলন আজ নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে। তবে যুদ্ধের সময় মানুষের সুরক্ষার দিকটাও ভেবে দেখা উচিত। যেখানে সেখানে জায়গায় জমায়েত হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এর পাশাপাশি দিলীপ এও জানান, “তবে আন্দোলন বন্ধ করতে কেউ বলেনি।”