নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: পর্তুগিজ আমলে হুগলি নদীর তীরে ছিল সপ্তগ্রাম বন্দর। সেই অঞ্চলেই শুরু হয়েছিল কার্তিক পুজো। সবচেয়ে প্রাচীন পুজোর বয়স ৩৭৮ বছর!
কোনও পুজোর বয়স ৩৭৮ কোনোটা ৩০০ আবার কোনটা আড়াইশো বছরের প্রাচীন।প্রাচীনত্বের সঙ্গে মিশেছে নতুনত্ব।
বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো বিগত কয়েক দশকে জৌলুস বেড়েছে। বাবু কার্তিক, জামাই কার্তিক, জ্যাংরা কার্তিক, ষড়ানন নানা ধরনের কার্তিক পুজো যেমন হয় তেমনি মহাদেব, কৃষ্ণ, সন্তোষী মা, গনেশ, ভারতমাতা, নটরাজ সহ হরেক দেবতার পুজো হয়। চারদিনের উৎসবের শেষ দিনে হয় শোভাযাত্রা।
বর্তমানে শতাধিক পুজো হয় সাহাগঞ্জ বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণে পুজো হয় ৭১টি। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ৪৫ টি পুজো। চন্দননগরের আলো, মেদিনীপুরে থিমের মণ্ডপ সব মিলিয়ে বাঁশবেড়িয়ার চারদিনের উৎসব জমজমাট।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী জানান, ‘প্রচুর মানুষের ভিড় হয় শহরে এই চারদিন। নিরাপত্তার জন্য ৭৬টি স্থায়ী সিসি ক্যামেরা সঙ্গে অস্থায়ী ২৫ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলো আলাদা করে সিসি ক্যামেরা বসায়। পুরসভার পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়।স্বাস্থ্য শিবির করা হয়। পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকে। হুগলি গ্রামীণের মগরা থানা চন্দননগর কমিশনারেটের চু়ঁচুড়া থানার পুলিশ মোতায়েন থাকে।’
সাহাগঞ্জের রাজা কার্তিক পুজোর উপদেষ্টা জগবন্ধু সাহা বলেন, ‘আমাদের পুজো একটা পরম্পরা, পর্তুগিজদের সময় থেকে কার্তিক পুজোর সূচনা হয়েছিল। সন্তান কামনায় কার্তিক পুজোর প্রচলন হয় বলে বিশ্বাস আম জনতার। তবে এই প্রাচীন পুজো আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই হয়ে আসছে।’
বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গিরিধারী মিত্র বলেন, ‘বাঁশবেড়িয়া কার্তিক পুজো বিখ্যাত।এখানে ৩৩ কোটি দেবতা দেখা যায়। কার্তিক পুজো হলেও রাসের মত পুজো হয় নানা দেবতার। সারারাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখে।আগের থেকে জৌলুস অনেক বেড়েছে।’