নিউজ পোল ব্যুরো: বর্তমানে একাধিক দূষণে জর্জরিত পরিবেশ। যার মধ্যে অন্যতম শব্দ দূষণ। হাসপাতাল হোক বা মিটিং মিছিল হোক দেদারে মাইকের ব্যবহার চলছেই। এমনকি হাসপাতালের সামনে সজোরে বাজে সাউন্ড বক্সও। বাদ নেই ধর্মীয় স্থানগুলিও। এবার সেই লাউডস্পিকার ব্যবহার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, ‘কোনো ধর্মের জন্যই লাউডস্পিকার অপরিহার্য্য নয়।’
মুম্বইয়ের কুরলা ও চুনাভাট্টি এলাকার দুই আবাসিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন শব্দ দূষণের অভিযোগে কিছু মসজিদ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর কিছু স্থানে উচ্চস্বরে আজান ও ধর্মীয় পাঠের কারণে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইছে যাতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বম্বে হাই কোর্ট ধর্মাচরণে লাউডস্পিকার ব্যবহারকে সীমিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।
বিচারপতি অজয় গড়করি ও শ্যাম ছন্দক এক অভিমত দেন যে, শব্দ দূষণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং লাউডস্পিকার চালানোর অনুমতি না দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন নয়। আদালত ২০০০ সালের নয়েজ পলিউশন (রেগুলেশন এন্ড কন্ট্রোল) রুলস কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য মুম্বই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই রায়ের পর মুম্বইয়ের বিভিন্ন স্থানীয় এলাকায় শব্দ দূষণ কমাতে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তবে এই পর্যবেক্ষণটি শুধুমাত্র মসজিদ বা ধৰ্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নয় বরং সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এতে বোঝানো হয়েছে ধর্মীয় কার্যকলাপের মধ্যে নাগরিকদের স্বস্তি এবং শান্তির অবিচ্ছেদ্য গুরুত্ব রয়েছে। শব্দের মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে বলে জানান আদালত। প্রতিটি লাউড স্পিকার,ভয়েস অ্যামপ্লিফায়ার,পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ইনবিল্ট শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে রাজ্যকে।
এত কিছুর পরেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, যা শহরের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। ব্যস্ততম শহর কলকাতার এনআরএস এবং বি আর সিং হাসপাতালের সামনে রাজনৈতিক মিটিংয়ের আয়োজন চলছিল, রোগীদের জন্য যা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে পাশাপাশি শিয়ালদহ কোর্টের কাছেও এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে জনসাধারণ। শতবার নির্দেশ সত্ত্বেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।