নিউজ পোল ব্যুরো: লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী ইত্যাদির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প হল সবুজ সাথী (Sabuj Sathi)। ২০১৫ থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পে নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল বিলি করা হয়। আর এবারে সেই সবুজ সাথীর সাইকেল নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হল ঝাড়গ্রামে। সূত্রের খবর, সবুজ সাথী প্রকল্পের প্রায় কয়েকশ সাইকেল খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Sand Smuggling: এবারে বালি পাচারের অভিযোগ বিরোধী বিজেপির দিকে
ঝাড়গ্রাম কৃষক বাজারের ঘটনা। এই বাজারের এক কোণে পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ সাইকেলগুলি। ধুলোর পুরু আস্তরণ জমে গিয়েছে সেগুলিতে। এদিকে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে অধিকাংশ সাইকেলেই মরচে পড়ে গিয়েছে। আবার আগাছাতেও ঢাকা পড়েছে এইসব সাইকেল। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেন এই সাইকেলগুলি বন্টন করা হয়নি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে? এই অবস্থায় কেন পড়ে রয়েছে?

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আর্থ-সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম এই সবুজ সাথী (Sabuj Sathi) প্রকল্প। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ২০১৫ থেকে রাজ্যের সব জেলাতেই সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই প্রকল্পের সাইকেল বিলি করা হয়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে শুরু করে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট ইত্যাদি ঝড় ঝাপটা যতই আসুক পড়ুয়ারা একবারের জন্যও বঞ্চিত হয়নি সবুজ সাথীর (Sabuj Sathi) সাইকেল থেকে। তাহলে ঝাড়গ্রামের কৃষক বাজারে কেন সাইকেলগুলির এহেন বেহাল দশা? এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী শিবির বিজেপি।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

বিজেপির তরফে জানানো হয়, শুধু কৃষক বাজারে পড়ে পড়ে সাইকেলগুলিই নয়। যে সাইকেলগুলি পড়ুয়াদের মধ্যে বন্টন করা হয়েছিল, সেগুলির হালও বেহাল। বিজেপি নেতা দেবাশীষ কুন্ডু বলেন, “দু’মাসও যাচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীদের হয় সাইকেলগুলি বিক্রি করতে হচ্ছে নয়ত মেরামত করতে হচ্ছে।” এদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডীর বক্তব্য, “এই জেলায় যত ছাত্রছাত্রী রয়েছে তারা যাতে সাইকেল পায়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি। যাদের যাদের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কিন্তু সাইকেল পায়নি তারা যাতে সাইকেল পায় সেটা দেখা হবে।”