নিউজ পোল ব্যুরো : পহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে আরও সতর্ক সুরক্ষাবাহিনী। তাই এবার জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীদের আত্মরক্ষার কৌশল এবং আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। সন্ত্রাসবাদ দমনে স্থানীয়দেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
পাকিস্তান মতদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৫ জন নিরীহ পর্যটক ও এক কাশ্মিরীর মৃত্যুর পরেই ভারত সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে যেকোনও কঠোর পদক্ষেপ ভারত নিয়ে প্রস্তুত বলেই পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি। সেই সতর্কতার মধ্যেই গ্রাম প্রতিরক্ষা রক্ষী (VDG) কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় কাশ্মীরিদের আত্মরক্ষার কৌশল এবং আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেই শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন। এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হল গ্রামবাসীরা জঙ্গি অনুপ্রবেশ, ড্রোন ব্যবহার করে চোরাচালান এবং অবৈধ অস্ত্র চলাচল বন্ধে BSF-কে সহায়তা করতে পারে। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের মৌলিক আগ্নেয়াস্ত্র দক্ষতা এবং অন্যান্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়েছে যাতে তারা জরুরি অবস্থার সময় শান্ত থাকতে পারে এবং আতঙ্কিত না হয়।
প্রশিক্ষণটি BSF পোস্টগুলিতে আয়োজন করা হচ্ছে। আপাতত, আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণটি কেবল AK সিরিজ এবং INSAS-এর মতো অ্যাসল্ট রাইফেলগুলির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য এবং হ্যান্ড গ্রেনেড কীভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত শেখানো হচ্ছে। সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন সনাক্ত করতে এবং তাদের ট্র্যাক করতে শেখানো হয়েছে। রাতের টহল, গোয়েন্দা অভিযান থেকে তথ্য রেকর্ড করা এবং BSF চেক পোস্টে তথ্য পাঠানো হল গ্রাম প্রতিরক্ষা রক্ষীদের কাজ। সেই কাজ করতেই গ্রামবাসীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। BSF কিছু এলাকায় নারী এবং কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক সীমান্তবর্তী গ্রামে তরুণদের উৎসাহ দেখা গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন সুরক্ষাবাহিনীর কর্তারা।
গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক এবং পঞ্চায়েত প্রধান রয়েছেন। BSF-এর এই প্রশিক্ষণের ফলে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হবে বিশেষত কাশ্মীরের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের আস্তানা গড়তেও ভাববে দুবার। প্রসঙ্গত, দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আসেন ভারতের ভূস্বর্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। তবে বৈসরণ উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্প। সেই শিল্পকে চেনা ছন্দে ফেরাতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমন করতেই নেওয়া হচ্ছে এই পদক্ষেপ।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
