নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতের আমেজ কি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে? শহর কলকাতার আবহাওয়া দেখে এমন প্রশ্নই উঠছে। শুক্রবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় দু’ডিগ্রি বেড়ে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ কমেছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীতের কোনো সম্ভাবনা নেই। আপাতত রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে কুয়াশার দাপট বাড়বে বলে আশঙ্কা। বিশেষত কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে যাবে। শুক্রবার সকালে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে কুয়াশার কারণে বেশ কয়েকটি বিমানের ওঠানামায় সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবের কারণে উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে রাজ্যে শীতের প্রকোপ কমেছে। তবে আশার কথা, রবিবার থেকে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু’দিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। তবে, তা সত্ত্বেও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পংয়ে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। এই অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমে ২০০ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে নেমে আসতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পুরুলিয়ায়, ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের সাম্প্রতিক তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে মনে হচ্ছে, শীতের মেয়াদ হয়তো খুব বেশি আর টিকবে না। যদিও রবিবার থেকে তাপমাত্রা সামান্য নামার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু জাঁকিয়ে শীত আর ফিরবে না বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।