নিউজ পোল ব্যুরো: শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University) ঘটে যাওয়া ঘটনার রেশ এখনও অব্যহত রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির নীচে পড়ে আহত হয়েছিলেন যাদবপুরের এক ছাত্র। সেই ঘটনার পরেই আহত ছাত্র যাদবপুর থানার দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ ওঠে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তারপরেই বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট পুলিশকে ভর্ৎসনা করে। দেওয়া হয় অভিযোগ নেওয়ার নির্দেশ। আদলতের নির্দেশ পেয়েই ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর(FIR) গ্রহণ করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাকে মারধর-শ্লীলতাহানি, খুনের হুমকি, খুনের চেষ্টা, সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ তাতে নাম রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র ও শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িচালকের। অভিযোগ না নেওয়া প্রসঙ্গে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বলেছিলেন, “যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশ একপেশে তদন্ত করেছে। অথচ রাজ্যের উচিত ছিল অভিভাবকের মতো আচরণ করা।” শনিবারের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টের ভর্ৎসনার পরই তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। শনিবারের সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীও। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে নিয়ে যেতে হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ BJP: নারী উন্নয়নে জোর, প্রথম মহিলা সভাপতি পেতে পারে বিজেপি
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University) গত ১ মার্চ ছিল ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। সেই সভাকে নিয়ে ওই দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। এমনটাই অভিযোগ। অভিযোগের তির উঠেছে বাম ছাত্রদের বিরুদ্ধে। সেই আগুনে ঘি পরে শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর থেকেই। খুলে দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়া। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর আগুনও লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। যার রেশ পরে গোটা রাজ্য জুড়েই।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/