নিউজ পোল ব্যুরো: রবিবার (Sunday) ২০ এপ্রিল ব্রিগেড চত্বরে সমবেত হচ্ছে সিপিআইএমের (CPIM) কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সংগঠন। তবে এটা শুধুই একটা জনসমাবেশ নয়! এ যেন এক প্রতিজ্ঞা, হারিয়ে যাওয়া জনভিত্তি ফিরে পাওয়ার সংকল্প। ২৬-এ লোকসভার আগে এই ব্রিগেড (Brigade Rally 2025) বামেদের কাছে শুধুই ‘শক্তি প্রদর্শন’ নয়, বরং একটা পরীক্ষার মঞ্চ। ভোট আছে কি না তা বোঝার উপলক্ষ।
আরও পড়ুন: Lankeshwari Goddess: মাঝি রূপে স্বয়ং দেবতা! দীঘার লঙ্কেশ্বরী মন্দিরের অজানা তথ্য
সিপিআইএমের (CPIM) সর্বোচ্চ নেতৃত্ব জানে বিগত এক দশকে ব্রিগেড ভরলেও ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এবার শুধু ভিড় নয় রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছনোই মূল লক্ষ্য। মূল বক্তা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সঙ্গে কৃষক-মজুর সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা। আলোচনা চলছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কেও (Minakshi Mukherjee) মঞ্চে আনার যিনি তরুণদের মধ্যে কিছুটা সাড়া ফেলেছেন।

মাঠ এবার ভিক্টোরিয়ার দিকে হলেও কিছুটা ছোট আকারে তৈরি। তবে মঞ্চের কাঠামো, ক্যামেরা, ড্রোন—সবই পেশাদার ভাবে প্রস্তুত। মাঠ ভরাতে ছাত্র-যুব সংগঠন, প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে নবীনরাও সক্রিয়। উত্তরবঙ্গ থেকে আগত কর্মীদের কলকাতায় রাখা হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে। ৭টি বড় মিছিল আজ শহরের বুকে আসবে ব্রিগেড অভিমুখে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! লোক আনলেই কি ভোট আসবে? শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে ট্রেনে চড়ে ব্রিগেড (Brigade Rally 2025) ভরালেও, তারা কি ২৬-এর নির্বাচনে হাতুড়ির প্রতীকেই ভরসা রাখবে? নাকি অতীতের মতোই ‘লোক আছে ভোট নেই’ এর পুনরাবৃত্তি হবে?
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

প্রতিবারের ব্রিগেডের মতো এদিনও হুইল চেয়ারে হাজির বাম সমর্থক এবং অন্যতম চেনা মুখ রবি দাস। সমাবেশ শুরুর আগে চাকরিহারা শিক্ষক দের নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। যোগ্যদের বাছাই করার দাবি জানিয়েছেন।
সিপিআইএমের (CPIM) জন্য এই ব্রিগেড এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর এই প্রথম এত বড় জমায়েত। একদিকে দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে সরকারের প্রকল্পনির্ভর রাজনীতি—তারই মাঝে বামেদের এই বার্তা কি মানুষের মনে দাগ কাটতে পারবে? নজর আজ সবারই ব্রিগেডে।