কবে চালু হবে অত্যাধুনিক ফুড জোন, উদ্বোধন কবে?

কলকাতা শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা শহরের তিন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক ফুড জোন। তবে এই ফুড জোনে কারা স্টল পাবেন, তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কলকাতা পুরসভা। এই কারণে উদ্বোধন আটকে রয়েছে। সূত্রের খবর, তিনটি ফুড জোন তৈরির কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। লক্ষ্য ছিল শহরের ভোজনরসিকদের জন্য উন্নতমানের ও সুসংগঠিত খাবারের পরিবেশ গড়ে তোলা। তবে স্টল বণ্টন প্রক্রিয়া এবং এর সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। যদি সব কিছু পরিকল্পনা মতো এগোয়, তবে ফেব্রুয়ারি মাসেই এই ফুড জোনগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

মোদী সরকার দেশজুড়ে ১০০টি ফুড স্ট্রিট চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ফুড স্ট্রিটগুলোতে দেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিটি ফুড স্ট্রিটের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কলকাতা শহরের তিনটি জায়গায় ফুড স্ট্রিট তৈরির কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাসেল স্ট্রিট, টালা এবং পাটুলি ঝিল পাড়ে ১৬টি করে ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়িতেও একটি নতুন ফুড জোন তৈরির কাজ চলছে। রাসেল স্ট্রিট, টালা এবং পাটুলির ফুড জোনগুলির নির্মাণকাজ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে। তবে স্টলগুলির দায়িত্ব কারা পাবে তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় ফুড হকারদের স্টলগুলির দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু প্রাপকদের তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় সেই তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। কলকাতা শহরের খাবারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হকারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কলকাতা পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হবে আধুনিক ফুড জোন। কিন্তু সেই জোনে স্টল বণ্টন নিয়েই সমস্যায় পড়েছে পুরসভা। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরের বেশিরভাগ খাবারের হকাররা এরইমধ্যে কোনও না কোনও জায়গায় ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের জায়গা ছেড়ে নতুন জায়গায় আসতে চাইছেন না। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে স্টল দেওয়ার জন্যও চাপ আসছে। তবে পুরসভার প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী, স্টল পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুরসভার নথিভুক্ত ফুড হকার হতে হবে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফুড স্টলগুলি চালু করার চেষ্টা চলছে। পুরসভার নথিভুক্ত ফুড হকারদের মধ্যেই কারা স্টল পাবেন, তা বাছাই করা হবে।’

পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফুড জোনে থাকবে চাইনিজ, মোগলাই, কন্টিনেন্টাল সহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। মূলত ফাস্ট ফুডই পাওয়া যাবে সেখানে। তবে, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিতে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের খাদ্য সংস্কৃতিকে আরও আধুনিক এবং সংগঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার।