নিউজ পোল ব্যুরো: পৃথিবী থেকে উড়ে এসে চাঁদের পৃষ্ঠে আলতো করে অবতরণ করেছে ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস (Firefly AeroSpace) এর সওয়ারিবিহীন মহাকাশযান ‘ব্লু গোস্ট’ (Blue Ghost)। মহাকাশযানটির (Spacecraft) উৎক্ষেপণ হয়েছিল ৪৬ দিন আগে এবং সোমবার দুটো নাগাদ এটি চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করেছে। এটি চাঁদে অবতরণ (Landing) করা দ্বিতীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক মহাকাশযান (Commercial spacecraft) যা চাঁদের সেই দিকটিতে অবতরণ করেছে, যে দিকটি সব সময় পৃথিবীর দিকে থাকে। মহাকাশযানটি অবতরণের পর চাঁদের পৃষ্ঠের ছবি পাঠিয়েছে, যা পৃথিবী থেকে দেখা যায় এমন ‘সি অব ক্রাইসিস’ (Sea of Crisis) বা সঙ্কটের সাগরের উপর অবস্থিত।
আরও পড়ুন:Hyperloop Train: অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটবে ভারতের প্রথম হাইপারলুপ!
ব্লু-গোস্ট (Blue Ghost) মহাকাশযানটি ৬.৬ ফুট লম্বা এবং এটি একটি আমেরিকান জোনাকি পোকা (Firefly), যার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই জোনাকি পোকাটি তারার মতো দপদপ করে না, বরং নীল আলোয় স্থির ভাবে জ্বলে ওঠে। ‘ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস’-এর এই মহাকাশযানটি গত ১৫ জানুয়ারি স্পেস এক্সের উৎক্ষেপণ যানে চেপে পৃথিবী থেকে রওনা হয়। ব্লু-গোস্টের (Blue Ghost) এই অভিযানটিতে নাসা (NASA) এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাও সহায়তা করেছে।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

মহাকাশযানটি চাঁদের সঙ্কটের সাগর, যা একটি বিশাল গহবর, সেখানে গিয়ে পৌঁছেছে এবং সেখানে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে প্রথম বেসরকারি বাণিজ্যিক মহাকাশযান (Commercial spacecraft) হিসেবে অবতরণ করার পরপরই, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি, ‘ওডিসি উস’ নামক মহাকাশযানটি চাঁদে প্রথম বেসরকারিভাবে অবতরণ করেছিল। এই অভিযানটি মহাকাশ গবেষণা (Space research) ও প্রযুক্তির (Technology) ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি পৃথিবী থেকে বাহ্যিক মহাকাশে বেসরকারি সংস্থাগুলির ভূমিকার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে নির্দেশ করে।
এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত, চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য অনেকগুলি রাষ্ট্রীয় মহাকাশ সংস্থার (State space agency) পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিশেষভাবে, ‘ব্লু-গোস্ট’-এর (Blue Ghost) সফল অবতরণ এই বেসরকারি মহাকাশযানগুলি কিভাবে ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় অংশ নিতে পারে এবং আমাদের কাছে নতুন ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য (Scientific information) সরবরাহ করতে পারে, তা প্রমাণ করে। এই অভিযানটি সবার আগে মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ এবং তার বাণিজ্যিক প্রয়োগের দিকে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
আরও পড়ুন:Gautam Chatterjee: মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান! নাসার নতুন খোঁজ